উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপতি সাভকাত মিরজিয়য়েভ এর কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। গতকাল তিনি এ পরিচয়পত্র পেশ করেন।
একই দিন উজবেকিস্তানে নিযুক্ত চেক প্রজাতন্ত্র, মিশর, জর্ডান, তুর্কি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতগণও তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপকালে উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে তার ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা জানান এবং বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সহায়তা কামনা করেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন এবং বাংলাদেশের গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, পাট, পাটজাত পণ্য এবং লেদার সেক্টরে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের কথা রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত পর্যটন, শিক্ষা, ক্রীড়া ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে দুটি বন্ধু প্রতিম দেশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়াতে ঢাকায় উজবেকিস্তানের দূতাবাস স্থাপন এবং ঢাকা-তাসখন্দ-ঢাকা সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় চালু করার জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন এবং আগামী ২৭ মে অনুষ্ঠিতব্য দু’দেশের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক ফরেন অফিস কনসালটেশন সভা ফলপ্রসূ করতে রাষ্ট্রপতির সহায়তা কামনা করেন।
এ প্রসঙ্গে উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপতি সেখানে উপস্থিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল আজিজ কামিলভকে ঢাকায় প্রাথমিকভাবে উজবেকিস্তানের একটি কনস্যুলেট খোলার জন্য এবং উভয় দেশের মধ্যে প্রথম এফ ও সি মিটিং ফলপ্রসূ করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা প্রদান করেন। সরাসরি বিমান চলাচলের বিষয়টি পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা আলম বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স অনুবিভাগের দায়িত্বে আছেন। ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা আলম এর আগে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এশিয়া অনুবিভাগে জয়েন্ট সেক্রেটারি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন তিনি। মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলমকে বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক।